ফিস্টুলা কেয়ার প্রজেক্ট

মাতৃত্বের এক অভিশাপের নাম ফিস্টুলা। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে প্রতিদিন গড়ে প্রসবজনিত কারণে মারা যান ১৪ জন নারী। আর এই ১৪ জন নারীর মধ্যে শতকরা ৮ ভাগ নারীর মৃত্যু হয় বাধাগ্রস্ত বা বিলম্বিত প্রসবের কারণে। এই বাধাগ্রস্ত বা বিলম্বিত প্রসবের কারণেই বেশির ভাগ নারী ফিস্টুলা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। অন্য দিকে নারীর অপুষ্টি, অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ, অপ্রশিক্ষিত দাইয়ের হাতে বাড়িতে সন্তান প্রসব এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব ফিস্টুলা রোগের অন্যতম কারণ। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলিতে সাধারণত ফিস্টুলা রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। ফিস্টুলা রোগীর সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে তারা সামাজিক ও পারিবারিকভাবে অবহেলা ও অবমাননার শিকার হন।এই অমানবিত পরিস্থিতি তাদের জীবনকে আর দূর্বিসহ করে তোলে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণের মতে, এই সমস্যা সমাধানে দুটি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, ইতোমধ্যে যারা ফিস্টুলায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। যদি সারিয়ে তোলা সম্ভব না হয় তাহলে পূণর্বাসনের মাধ্যমে সমাজের সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা। এ প্রেক্ষিতে এনজেন্ডারহেলথ্ বাংলাদেশ এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় প্রসবজনিত ফিস্টুলা প্রতিরোধ, ফিস্টুলা রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং পূণর্বাসনের লক্ষ্যে আদ্-দ্বীন ২০০৭ সাল থেকে ফিস্টুলা কেয়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে।

ফিস্টুলা কেয়ার প্রকল্পের উদ্দেশ্য

আদ্-দ্বীনের কর্মএলাকা থেকে ফিস্টুলা রোগী বাছাই পূর্বক আদ্-দ্বীন ফিস্টুলা কেয়ার প্রকল্পের তত্ত¡াবধানে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
চিকিৎসা পরবর্তী সময়ে যথাযথ পূণর্বাসন নিশ্চিত করা।
ফিস্টুলা রোগীদের যথাযথ পরামর্শ প্রদান এবং তার পরিবারের সদস্যদের সাথে সুসম্পর্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা।
তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং পরিবারের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
নেতৃত্বের বিকাশ, সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ এবং নানা প্রকার সামাজিক কর্মমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের মানসিক দক্ষা বৃদ্ধি এবং সামাজিকভাবে সচেতন করা।

আদ্-দ্বীনের অর্জন (এযাবত)

মোট রোগী বাছাই ফিস্টুলা অপারেশন পূণর্বাসন সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ
কমিউনিটি প্যারামেডিক প্রশিক্ষণ নবদম্পতি ও গর্ভবতী এনজিও/সরকারী কর্মচারী
৬২০ ২১৮ ৬২ ৯৫১ ৯৮ ১৫০০ ১১০০

Login