মাছের পিটুইটারী গ্রন্থি (পিজি)

পিকেএসএফ-এর “LIFT” কর্মসূচির আওতায় “মাছের পিটুইটারী গ্রন্থি (পিজি) সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিপণনের এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে যশোর, ঢাকা, রংপুর, ঠাকুরগাঁও ও গাজীপুর জেলার মাছ বাজারসমূহ থেকে পিজি সংগ্রহের মাধ্যমে উদ্যোগটির কাজ চলমান রয়েছে।

পিজির পরিচিত এবং উদ্দেশ্য

পিজির পূর্ণরূপ হচ্ছে পিটুইটারী গ্রন্থি যা মাছের খুলির মধ্যস্থ মাথার পেছনের অংশে অবস্থিত কুঠুরিতে থাকে। মেরুদন্ডী সকল প্রাণীর পিজি থাকে যা থেকে নির্দিষ্ট সময়ে নি:সৃত হরমোন তাকে প্রজনন কাজে প্রণোদিত করে। হ্যাচারিতে কৃত্রিম উপায়ে মাছকে প্রজননে প্রণোদিত করার জন্য এই পিজি হরমোন ব্যবহৃত হয়। উক্ত প্রকল্প আমদানী নির্ভরতা হ্রাস করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি ব্যাপক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। দেশের অভ্যন্তরীণ প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ লক্ষ্যে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করাই মূলত উদ্যোগটির উদ্দেশ্য। বর্তমানে দেশের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে এই পিজির বিশাল চাহিদা রয়েছে যার অধিকাংশই বিদেশ থেকে আমদানী করে মেটানো হয়।

উদ্যোগের বর্তমান অবস্থা

উদ্যোগের আওতায় কর্ম এলাকার বাজারসমূহে জরিপের মাধ্যমে বাজারে মাছ কাটা বটিওয়ালাদের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের মাধ্যমে কাঁচা পিজি সংগ্রহের কাজ করা হয়। বটিওয়ালাদের পিজি সংগ্রহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষিত বটিওয়ালারা কাঁচা পিজি সংগ্রহ করে সংস্থার নির্ধারিত প্রসেসিং ল্যাব “ইউনাইটেড এ্যাগ্রো ফিসারিজ”-এ প্রেরণ করে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধম্যে কাঁচা পিজি ল্যাবে প্রসেসিং করে ব্যবহার উপযোগী করা হয় ও দেশীয় মৎস্য হ্যাচারিতে বিক্রয় ও বিদেশে রপ্তানী করা হয়।

Login