আদ্-দ্বীনের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

বঙ্গুবন্ধুর নেতৃত্বে অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বঙ্গুবন্ধুর সরা জীবন সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গুবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সেই কালজয়ী মহানতার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত প্রর্থনা নিয়ে আদ্-দ্বীন উদযাপন করলো স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।

১৯৭১ সালে ২৬শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানী শক্তিকে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশে গণহত্যা চালায়। এই গণহত্যায় শুধুমাত্র ঢাকাতেই সেই রাতে প্রাণ হারায় ৬ থেকে ৭ হাজার সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশে এই দিনটি জাতীয় গণহত্যা দিবস নামে পালিত হয়। ১৯৭২ সাল থেকেই বাংলাদেশ ২৬শে মার্চ কে "স্বাধীনতা দিবস" হিসাবে পালন করে আসছে। অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে। এই দিনটি ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশ বিজয় দিবস হিসাবে পালন করছে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা ও যুদ্ধে বিজয় অর্জনের ৫০ বছর পূর্ণ হয়। তাই স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২১ সালকে "সুবর্ণজয়ন্তী" হিসাবে পালন করা হয়।

সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে "রূপকল্প ২০২১" ঘোষণা করা হয় , যেখানে ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল, ডিজিটাল ও আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রত্যয় দেয়া হয়। প্রারম্ভিক উদযাপন উপলক্ষে "স্বাধীনতার ৫০ বছর" – লেখা হয় লাল ও সবুজ রঙে, যেটি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রঙ।

২৬ মার্চ ভোরে পঞ্চাশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচির সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এই দিনে বাংলাদেশের সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়র সঙ্গে সঙ্গে তোলা হয় জাতীয় পতাকা। সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলোকে সজ্জিত করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় স্বাধীনতা দিবসের কয়েক দিন আগে থেকেই চলে আলোকসজ্জা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে এ দিন দেশের সকল ধর্মীয় উপাসনালয় বিশেষ প্রার্থনা ও মুনাজাত করা হয়।

কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর কারণে সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে সীমিত দর্শক অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল। আবার দর্শকহীন অনুষ্ঠানগুলোতেও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। সমগ্র দেশ ব্যাপী এই আয়োজনে প্রতিকূলতার মধ্যদিয়েই আদ্-দ্বীন ওয়েল সেন্টার নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করে। এই উদযাপনে অংশ নেয় আদ্-দ্বীনের প্রধান কার্যলয় সহ ১৯৭টি শাখা কার্যালয়ের কর্মজীবীরা।

অনুষ্ঠান সূচীতে ছিল :
  • বর্ণাঢ্য রালী
  • রচনা প্রতিযোগীতা
  • ছবি আাঁকা প্রতিযোগীতা
  • সাংষ্কৃতিক অনূষ্ঠান
  • আলোক স্বজ্জা
  • প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরীতে বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন ইত্যাদি।

প্রধান কার্যালয় সহ সকল শাখা পর্যয়ে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য রালী। নানা রঙ্গে নানা ঢঙ্গে উৎসব মুখর পরিবেশে সকলে র‌্যালিতে অংশগ্রহন করে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী “বাংলাদেশের এক অনন্য অর্জন স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ” সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে আদ্-দ্বীনের অঙ্গীকার এই অর্জন ধরে রাখা ও বাস্তবায়নে সহযোগী হবার।
  • Cinque Terre
  • Cinque Terre
  • Cinque Terre
  • Cinque Terre
  • Cinque Terre

Login

নোটিশ